বাসস
  ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৫০
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৫৩

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে চান আসিফ নজরুল

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি সিউলের ইপিএস ও সিজনাল ওয়ার্কার স্কিমের প্রশংসা করেন এবং জনশক্তি সহযোগিতা জোরদারে কৃষি, প্রাণিসম্পদ, পরিচর্যা ও সেবা খাতে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান।

আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ডে উপলক্ষে এখানে দেশটির দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কোরিয়ার ভূমিকাকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করে।

আসিফ নজরুল জানান, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যবস্থার আওতায় কোরিয়ায় কাজ করেছেন। তিনি শ্রম সহযোগিতা আরও জোরদার করতে কয়েকটি প্রস্তাব দেন, যার মধ্যে রয়েছে কর্মীদের পুনঃপ্রবেশের সময়সীমা ১০-১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো, ইপিএস প্রোফাইলের মেয়াদ দুই বছর থেকে পাঁচ বছর করা এবং কর্মীদের কল্যাণ পর্যবেক্ষণে যৌথ ডিজিটাল মনিটরিং চালু করা।

তিনি আরও বলেন, ন্যায্যতা বজায় রাখতে বিদ্যমান র‌্যান্ডম রেশিও পদ্ধতির পরিবর্তে ইপিএস প্রোফাইলের নিয়মিত ও পদ্ধতিগত জমা নিশ্চিত করা উচিত। পাশাপাশি তিনি কোরিয়ার পরিচর্যা ও সেবা খাতে পাইলট নিয়োগ কর্মসূচি চালুর আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে কোরিয়ার ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে শক্তিশালী উপস্থিতির কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্মার্ট শিল্পে কোরিয়ার আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, কোরিয়ার সিজনাল ওয়ার্কার প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রান্তিক যুবকদের জন্য মূল্যবান সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করেছে।

তিনি কোরিয়া সরকার ও জনগণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং ‘বিশ্বাস, উদ্ভাবন ও টেকসই অগ্রগতির’ ভিত্তিতে সম্পর্ক উন্নয়নে ঢাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকও বক্তব্য রাখেন। তিনি দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রমগত গতিশীলতায় সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তুতির কথা জানান।