শিরোনাম

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন, এর কার্যাবলি ও বিলুপ্তি বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এ বলা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে আদেশটি আজ জনসাধারণের জন্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন, এর কার্যাবলি ও বিলুপ্তি বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ এর ৭ এ বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, (১) গণভোটে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট (হ্যাঁ) সূচক হইলে, (ক) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে, যাহা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারবে।
(খ) ওই নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একইসঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে এবং এই আদেশ অনুসারে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। (গ) পরিষদ এর প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ এবং গণভোটের ফলাফল অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে এবং তা সম্পন্ন কবার পর পরিষদের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
(২) পরিষদের কার্যধারায় অংশগ্রহণের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পরিষদ সদস্য হিসেবে অভিহিত হবেন। (৩) এই আদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ এর অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবি, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপনের পদ্ধতি, প্রস্তাব বিবেচনা ও গ্রহণ এবং অন্য সকল বিষয়ে কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করবে।
(৪) জাতীয় সংসদ সচিবালয় পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
আদেশ ৮ এ বলা হয়েছে, শপথ এবং শপথ-পাঠ পরিচালনা। (১) নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংসদ-সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর একই শপথ অনুষ্ঠানে এই আদেশের তফসিল-১ অনুযায়ী পরিষদ-সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে স্বাক্ষর দান করবেন।
(২) সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের ক্ষেত্রে যিনি শপথ-পাঠ পরিচালনা করবেন তিনিই এই আদেশের তফসিল-১ এ বিধৃত ফরমে পরিষদ-সদস্যদের শপথ-পাঠ পরিচালনা করবেন।
আদেশের ৯ এ বলা হয়েছে, পরিষদের সভাপ্রধান- (১) পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে পরিষদ-সদস্যগণ এর সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান নির্বাচন করবে; এবং উক্তরূপ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত পরিষদের বয়োজ্যেষ্ঠ একজন সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যর সম্মতিক্রমে বৈঠকে সভাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। (২) সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান উভয়ের অনুপস্থিতিতে পরিষদের কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোন পরিষদ-সদস্য সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
আদেশের ১০ এ পরিষদের অধিবেশন আহ্বান, কোরাম, ভোটদান, ইত্যাদি বিষয়ে বলা হয়েছে। (১) সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষিত হওয়ার ৩০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে যে পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হবে অনুরূপ পদ্ধতিতে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হবে।
(২) পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ জন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে।
(৩) সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে; এবং অন্যান্য বিষয়ে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
তবে শর্ত থাকে যে, সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে সভাপ্রধান নির্ণায়ক ভোট প্রদান করবেন।
আদেশের ১১ এ পরিষদ ও উহার সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি বিষয়ে বলা হয়েছে। পরিষদের কোনো কার্যধারার বৈধতা এবং পরিষদ-সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি জাতীয় সংসদ ও সংসদ-সদস্যদের অনুরূপ হবে।