বাসস
  ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২২:৫১

চট্টগ্রামের লালদিয়া টার্মিনালে ৩০ বছরের পিপিপি চুক্তির পথে চবক

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষরের পথে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কাঠামোর আওতায় চুক্তিটি ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন এপিএম টার্মিনালস বি.ভি. এর সঙ্গে হবে।

এপিএম টার্মিনালস এই প্রকল্পে ডিজাইন, ফাইন্যান্স, বিল্ড এবং অপারেট করবে, তবে বন্দরটির মালিকানা থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে। চুক্তির মেয়াদে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে তারা। এর ফলে সরকারের মূলধনী ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা) এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের বন্দর খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার উদ্যোগ। চুক্তি অনুযায়ী বন্দরটির মালিকানা চবক-এর অধীনে থাকবে, আর এপিএম টার্মিনালস নির্মাণ, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করবে। প্রকল্পটি সরকারের মূলধনী ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে।”

তিনি আরও জানান, এপিএম টার্মিনালস ৩৩টি দেশে ৬০টির বেশি টার্মিনাল পরিচালনা করছে এবং বিশ্বের শীর্ষ ২০ বন্দরের মধ্যে ১০টির অপারেটর। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল দেশের প্রথম গ্রীন ও স্মার্ট বন্দর হবে। এটি ২৪ ঘণ্টা ন্যাভিগেশন সুবিধা এবং বৃহৎ জাহাজ ধারণ সক্ষমতা থাকবে। এপিএম টার্মিনালস আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় প্রকৌশলী ও ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়ন করবে। যা বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।

তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে বছরে ৮ লক্ষাধিক টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যা বর্তমান সক্ষমতার চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি। রাজস্ব ভাগাভাগি, কর ও আনুষঙ্গিক সামুদ্রিক সেবা থেকে সরকারের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া ৫০০-৭০০ জন সরাসরি এবং হাজার হাজার পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।