শিরোনাম

ঢাকা, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত দাম বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকে ‘চুক্তির কারণে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কিনছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানির প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই প্রতিবেদন পাঠকদের ভুল ধারণা দিতে পারে। তাই বিষয়টির সঠিক তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম প্রতি টন ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলারে আমদানির চুক্তি হয়। পরে দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, সংবাদে যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা খাদ্য অধিদপ্তরের সাইলো পর্যন্ত পরিবহণ ব্যয়, বীমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিকসহ সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে, অথচ রাশিয়ার মূল্যে কেবল দেশটির বন্দর পর্যন্ত খরচ হিসেব করা হয়।
বাস্তব তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ২৩০ মার্কিন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩২ ডলার, অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।
তাছাড়া, বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন রাশিয়ার গমের দাম ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ৩ লাখ ৮ হাজার ৩১০ মার্কিন ডলার।
মানের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের গম বেশি উন্নত বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন (আমিষ) থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ। যা পুষ্টিগুণ ও মানের দিক থেকে উত্তম। ফলে উন্নত মান, প্রোটিনের উচ্চমাত্রা ও আন্তর্জাতিক পরিবহণ ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম কিছুটা বেশি হওয়া যুক্তিসংগত ও বাজার সম্মত।
খাদ্য মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে।