শিরোনাম
ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর প্রস্তাবিত সংশোধনের বিষয়ে নারী দরদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)।
আজ বুধবার পরিকল্পনা কমিশন ক্যাম্পাসে বিপিপিএ ভবনে প্রস্তাবিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, ২০২৫ এর উপর এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সচিব এসএম মঈন উদ্দীন আহম্মেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আইএমইডি-এর সচিব মো. কামাল উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিপিপিএ গত দুই মাসে সরকারি ক্রয়ের বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে পিপিআর সংশোধন বিষয়ে যে ধারাবাহিক আলোচনা করেছে, তারই অংশ হিসেবে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) এর ব্যবস্থাপনায় মোট ৩০ জন নারী দরদাতা এতে অংশগ্রহণ করেন। বিপিপিএ ইতোমধ্যে দুটি জেলা এবং দুটি উপজেলায় ও অংশীজনদের সাথে সংলাপ পরিচালনা করেছে।
কর্মশালায় বিপিপিএ-এর পরিচালক শাহ ইয়ামিন-উল ইসলাম প্রস্তাবিত পিপিআর, ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন। তিনি বলেন, প্রায় সব কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীরা নতুন পিপিআর করার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ ২০০৮ সালের পিপিআর-এর প্রস্তাবিত সংশোধনীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই নতুন পিপিআর, ২০২৫ করাই যুক্তি যুক্ত।
কর্মশালায় নারী দরদাতারা বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, দরপত্র নিরাপত্তা জামানত দ্রুত ছাড়, দরপত্র দলিল ফি আরও কমানো, ব্যাংক পরিষেবা পেতে ঝামেলা দূর করা এবং ভ্যাট ও কর সম্পর্কিত জটিলতা দূর করা।
এ সময়ে বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআরের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি উত্থাপন করার আশ্বাস প্রদান করেন।
নারী দরদাতারা সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হন তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন আইএমইডি সচিব। তিনি বলেন, বিপিপিএ নারী দরদাতাদের সমস্যা জানা এবং সেগুলি সমাধানের জন্য তাদেরকে কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নারী দরদাতা, নতুন দরদাতা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দীন আহম্মেদ। তিনি বলেন, সরকারি ক্রয়ে এ তিন শ্রেণির জন্য পিপিআর সংশোধনে অপারেশনাল বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মঈন উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, দরপত্র জামানত ছাড়ে বিলম্ব, দরপত্র দলিল ফি আরও কমানো এবং ই-জিপি হেল্পডেস্ক পরিষেবা উন্নত করার বিষয়গুলিও বিপিপিএ খতিয়ে দেখবে।
তিনি বলেন, যদি তারা দরপত্র বিজ্ঞাপনে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ লিখিতভাবে জমা দেয়, তাহলে বিপিপিএ তা বিবেচনা করবে এবং পদক্ষেপ নেবে। তিনি বিপিপিএ-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) পরিষেবা ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে ২০২৫ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপর বিপিপিএ পিপিআর, ২০০৮ সংশোধনের জন্য কাজ করছে। সংশোধিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬, নতুন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধি, ২০২৫ জারির সাথে সাথে কার্যকর হবে।