শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বৃত্তি ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক উদ্যোগের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহায়তাদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যার লক্ষ্য এই অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য জ্ঞান-ভিত্তিক নেতৃত্ব ও জীবিকার সুযোগ তৈরি করা।
আজ ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলের সাম্প্রতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরের সময় এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। তিনি এ অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তার বাস্তব সুফল প্রত্যক্ষ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত সেখানে স্থানীয় আদিবাসী বোর্ডিং এবং ডে স্কুল মোনোঘর পরিদর্শন করেছেন যেখানে ১,১০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস থেকে দেয়া অনুদান একটি আইটি-অস্ট্রেলিয়া কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছে, যা আদিবাসী যুবকদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্র্যাকের স্কিলস ট্রেনিং ফর অ্যাডভান্সিং রিসোর্সেস (স্টার) প্রোগ্রামের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা তরুণদের জীবনকে বদলে দিয়েছে এবং তাদের টেকসই জীবিকার জন্য ব্যবহারিক, বাণিজ্য-ভিত্তিক দক্ষতায় সজ্জিত করছে।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ প্রোগ্রামের ২৫০ জনেরও বেশি আদিবাসী বাংলাদেশি প্রাক্তন ছাত্রের দীর্ঘমেয়াদি অবদানের জন্য হাই কমিশনার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যারা পার্বত্য অঞ্চলে তাদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হেড অফ মিশন ক্লিনটন পবকে আদিবাসী স্কলার এবং প্রাক্তন ছাত্রদের প্রতি হাইকমিশনের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযুক্ত থাকার মাধ্যমে সহায়ক ও পরিবর্তনের কারিগর হিসেবে কাজ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
‘আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান স্কলারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এএএসএবি)’ সম্প্রতি বার্ষিক সাধারণ সভা করেছে। অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস লাভকারী আদিবাসী প্রাক্তন ছাত্ররা একত্রিত হয়। অনুষ্ঠানে তাদের অর্জন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য তাদের ঐক্য প্রতিফলিত হয়েছে।