বাসস
  ৩০ মে ২০২৫, ১৮:৫৮

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্ম তামাকের সর্বনাশা ছোবল থেকে মুক্তি পাবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস): প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্ম তামাক ও নিকোটিনের সর্বনাশা ছোবল থেকে মুক্তি পাবে।

তিনি বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে চিকিৎসক, পেশাজীবী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থাসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক। 

‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এবং প্রচলিত তামাকপণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ সংশোধন ও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সব ধরনের তামাকজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক সেবনের ফলে হৃদ্‌রোগ, ক্যান্সার, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, অ্যাজমা, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল ও প্রাণঘাতী রোগে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। 

তিনি বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলো তরুণ প্রজন্মকে তামাক সেবনে প্রলুব্ধ করতে নিত্যনতুন তামাকপণ্য আকর্ষণীয় প্যাকেজিং ও ডিজাইনে বাজারজাত করছে। আমাদের যুব সমাজকে তামাকজাত পণ্য থেকে দূরে রাখতে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’- একটি সময়োপযোগী আহ্বান।”

প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।