শিরোনাম
ঢাকা, ৪ মে, ২০২৫ ( বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছানোর পর দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন।
আগামী মঙ্গলবার (৬ মে) বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরলে বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাবে।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে আগামীকাল ৫ মে (সোমবার) দেশে ফেরার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু তিনি আগামীকাল দেশে ফিরছেন না। এক দিন পর ৬ মে (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরবেন তিনি। দেশে ফিরলে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রুহুল কবির রিজভীর নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল রেডিসন পর্যন্ত।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল রেডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত।
ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা যে যার সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না। হেঁটে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এছাড়া বিমানবন্দর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।