বাসস
  ১৫ মে ২০২৫, ২৩:০৭
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ২৩:৩১

বৈষম্য ঘুচিয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বৈষম্য ঘুচিয়ে নারী ও গ্রামের মানুষদের এগিয়ে নিতে ইন্টারনেট ও ডিভাইস অ্যাক্সেস বাড়ানোর জন্য কাজ করছে সরকার। মুঠোফোনে ব্যক্তি নিজেই যেন সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যেও কাজ চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। 

এসময় তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১০ নম্বর লক্ষ্য অসমতার হ্রাস যা আমাদের এবারের বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের প্রতিপাদ্যের সাথে সম্পূর্ণ মিলে যায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রায় ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তার মধ্যে নারী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম। একই সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও নারীদের সংখ্যা কম। অর্থাৎ ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এবং এ সংক্রান্ত যে সূচকগুলো রয়েছে সেগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ এবং অ্যাক্সেস টু ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং অ্যাক্সেস টু ডিজিটাল সার্ভিসেস দুটো ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ কম। আমাদের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, তাই তাদের এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে। আমাদের গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা নিয়ে অংশীজনদের কাছে পৌঁছাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, আগে বাজেটে অযথা মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দিয়ে মুখরোচক প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হতো। বর্তমান সরকার সেই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসেছে। এবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিটিআরসি কার্যালয়েই সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য। এবারের আয়োজনে বেশ কিছু ব্যতিক্রম কার্যক্রম রেখেছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গত এক বছরে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা কৃতি সন্তানদের সম্মাননা দেওয়া। এর পাশাপাশি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিযোগী তাদের আইডিয়াগুলো উপস্থাপন করেছে।

প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, মুখরোচক প্রকল্প না বাড়িয়ে এবং সরকারি ব্যয় কমিয়ে বিদ্যমান সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকেই জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আইসিটির বাজেট নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার বাজেট কম হবে।