শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): জেলার ডিঙ্গেদহে মেয়াদোত্তীণ মদ পান করে দুই দিনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১ জন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে তারা মদ পান করে। এদের মধ্যে ২ জন গত শনিবার (১১ অক্টোবর) মারা গেছেন। গতকাল রোববার (১২ অক্টোবর) আরো ৪ জন মারা যান। তাদের মধ্যে ৪ জনের দাফন গোপনে সম্পন্ন হয়েছে।
মদ পানে মৃতরা হলেন, খেদের আলী (৪০), মোহাম্মদ সেলিম (৪০), লাল্টু ওরফে রিপু (৩০), শহীদ (৪৫), সমির (৫৫) ও লাল্টু (৫২)। তারা পেশায় কেউ ভ্যানচালক, মাছ ব্যবসায়ী ও মিল শ্রমিক। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলেও গতকাল সন্ধ্যার পর তা জানাজানি হয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ৮ থেকে ৯ জন শ্রমিক একত্রিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে মেয়াদউত্তীর্ণ মদ পান করে। এর পর যে যার মত বাড়ি চলে যায়। পরে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে শনিবার নফরকান্দি পূর্ব পাড়া গ্রামের ভ্যানচালক খেদের আলী ও খেজুরা গ্রামের হাসপাতাল পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম মারা যান। পরিবারের লোকজন শনিবারই তাদের দাফন করে।
তিনি জানান, গতকাল রোববার পিরোজখালী স্কুল পাড়ার ভ্যানচালক লাল্টু ওরফে রিপু , শংকরচন্দ্র গ্রামের মাঝের পাড়ার শ্রমিক শহীদ, ডিঙ্গেদহ টাওয়ার পাড়ার মিল শ্রমিক সমির ও ডিঙ্গেদহ এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সর্দার লাল্টু মারা যান। এদের মধ্যে লাল্টু ওরফে রিপু ও শহীদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। লাল্টু ও সমিরের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়াও হানুরবাড়াদি গ্রামের মৃত কুুতুব আলীর ছেলে অলিউদ্দিন (৫০) কে অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি খালেদুর রহমান বলেন, মদ পানে মৃত্যুর ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) জামাল আল নাসের বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মদ পানের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন মারা গেছে এবং অসুস্থ হয়েছে ৩ জন। লাল্টুর লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। চিকিৎসকের দেওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ্যালকোহল পান করেই তারা মারা গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তারা কোথা থেকে এ মদ পান করেছে সে বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।