বাসস
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৬

জয়পুরহাটে দুর্গাপূজাকে ঘিরে বেড়েছে নারকেল ও গুড়ের কদর

জয়পুরহাট, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ (বাসস) : বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে জয়পুরহাটে বেড়েছে নারকেল ও গুড়ের কদর। পূজায় অতিথি আপ্যায়নে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পরিবেশন করা হয় যার অন্যতম হচ্ছে নাড়–। এ নাড়– তৈরির মূল উপকরণ হচ্ছে নারকেল ও গুড়।
জয়পুরহাট শহরের পূর্ব বাজার, নতুনহাট ও মাছ বাজার ঘুরে নারকেল ও গুড় বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা  যায়, সারা বছর টুকটাক কেনাবেচা হলেও অন্য সময়ের তুলনায় দুর্গাপূজা আসলে নারকেল ও গুড় একটু বেশি বিক্রি হয়। ফলে বাজারে তুলনামূলক দামও একটু বৃদ্ধি পায়। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশিত  হয় বিভিন্ন ধরনের  নাড়–। তার মধ্যে  নারকেলের নাড়–  হচ্ছে অন্যতম ও সুস্বাদু। যার ফলে সারাদেশে একবারে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় নারকেল ও গুড়ের কদর কিছুটা বেড়ে যায়। ১ অক্টোবর ষষ্টী পূজার মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় ওই ধর্মীয় উৎসব। দুর্গাপূজার অপ্যায়নের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে চলছে এখন মুড়ি, মোয়া, নাড়–, মুরকিসহ অন্যান্য মিষ্টান্ন তৈরির ধুম। দুর্গাপূজাকে ঘিরে স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও নারকেল বিক্রি করে থাকেন। বর্তমান বাজারে এক জোড়া নারকেল বিক্রি হচ্ছে  ছোট বড় অনুযায়ী ১৮০ টাকা থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত। আর গুড় বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে ১২০ টাকা কেজি। আবার চিনি একটু কমে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। পূজা উপলক্ষে প্রতিটি নারকেলের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পূর্ব বাজারের নারকেল ব্যবসায়ী অখিল চন্দ্র ও আব্দুস সামাদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেচা কেনা ভালো হচ্ছে। নারকেল ক্রেতা মাদারগঞ্জের ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় এখন একটু বেশি দাম হলেও দুর্গা পূজায় নারকেল প্রয়োজন যার  জন্য কিনতে হচ্ছে। অতিথি অপ্যায়নে দুর্গা পূজায় বিভিন্ন ধরনের  নাড়– পরিবেশন করা হয়ে থাকে। অন্য সময়ে নারকেল তেমন কেনা  হয়না কিন্তু পূজার সময় বাড়ির লোকজন ও ছেলে মেয়েদের চাহিদা থাকায়  নারকেল কিনতে হয়।  এরপরেও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সারা বছরই পারিবারিক প্রয়োজনে টুকটাক নারকেল কিনে থাকেন বলে জানান অশোক কুমার চৌধুরী। গুড় বিক্রেতা নুর আলম বলেন, পূজার সময় গুড় বেশি বিক্রি হয়। কারণ হিসেবে তিনি জানান, পূজায় নাড়–সহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরিতে গুড়ের প্রয়োজন হয়। আবার পূজা উপলক্ষে অনেক জায়গায় মন্ডপ প্রাঙ্গনে মেলা বসে সেখানেও মিষ্টি মিষ্টান্ন  বেচা বিক্রি  হয় ফলে পূজার সময় গুড় তুলনামূলক বেশি বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানান অপর গুড় ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড: হৃষিবেশ সরকার বলেন,  সনাতন ধর্মালম্বীদের  পূজা পার্বনে মিষ্টি মিষ্টান্ন বেশি ব্যবহৃত হয়। সে কারণে নারকেল ও গুড় হচ্ছে  পূজার অন্যতম অংশ। অতিথি অপ্যায়নেও   নারকেলের তৈরি নাড়–র কদর অনেক বেশি থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়