বাসস
  ১৬ জুন ২০২২, ১৫:২২
আপডেট  : ১৬ জুন ২০২২, ১৫:২৫

কুমিল্লায় কৃষকরা এক জমিতে বছরে চার ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৬ জুন, ২০২২ (বাসস): জেলার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার কৃষকরা এক জমিতে বছরে চার ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। 
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,এক সময় এই গ্রামের কৃষকরা  মৌসুমে দুইবার ধান চাষ করতেন। বাকি সময় জমি খালি পড়ে থাকতো। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে  সেখানে সরিষা ও তিল চাষ করা হচ্ছে। ধারাবাহিক চার ফসল হচ্ছে সরিষা, তিল,  রোপা আউশ ও  রোপা আমন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়। সরিষা ফসল  তোলার পর ২০বিঘা জমিতে বিনাতিল-২, বারি তিল-৪,  হোমনার স্থানীয় তিল চাষ করা হয়েছে। এক জমিতে বছরে চার ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। 
জানাগেছে, এই মাঠে তিল বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ মণ উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। সরিষা বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ মণ উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২ থেকে ১৬ হাজার। আউশ ধান বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে ফলন হলে আয় ১৫ হাজার টাকা, ব্যয় ১১ হাজার টাকা ধরলে লাভ হতে পারে ৪ হাজার টাকা। 
স্থানীয় কৃষক রমজান হোসেন বাসসকে বলেন, রবি  মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের মাঠের জমিগুলো পতিত থাকতো। 
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ  দেয় ও বীজ বিতরণ করে। শুরুতে তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সকল শঙ্কা কাটিয়ে ২০ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি  দেখে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।  
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে জানান,  বোরো- রোপা আমন শস্য বিন্যাসের স্থলে সরিষা,তিল, রোপা আউশ ও  রোপা আমন শস্য বিন্যাসে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় সম্ভব গড়ে ২৫ হাজার টাকা। পাহাড়পুরের  মোট ৮০ বিঘা জমিতে প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা অর্থনীতিতে যুক্ত হবে।  দেশের  তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়