বাসস
  ৩০ মে ২০২২, ২১:৩৬
আপডেট  : ৩০ মে ২০২২, ২৩:৩০

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ খাতে আন্তঃসহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে : ওয়াসিকা আয়শা খান

ঢাকা, ৩০ মে, ২০২২ (বাসস) : অভিন্ন নদী অববাহিকার কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ খাতে আন্তঃসহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের গোয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত 'এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার কনক্লেভ ২০২২'-এর রিজিয়নাল এনার্জি প্রসপেক্টস এন্ড সাসটেইনেবল ইউজ অফ আওয়ার রিভারিন রিসোর্সেস-শীর্ষক সেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করে ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক  আরো বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য নদীপ্রধান দেশগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা, দক্ষ পেশাদারদের সমন্বয়ে একটি বহুপাক্ষিক পরামর্শক কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ এই অঞ্চলের নদীগুলোর পরিবেশগত, সামাজিক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রকৃতি সনাক্ত তথা নদীগুলো থেকে পর্যায়ক্রমিক জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দীর্ঘমেয়াদী ডেটা শেয়ারিং চুক্তি, হাইড্রোলজিক্যাল কমিটির মাধ্যমে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেকং অববাহিকার জলবিদ্যুৎ উন্নয়নে বিশদ গবেষণা করে টেকসই উন্নয়ন, শক্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সদস্য দেশগুলো যাতে একটি শক্তিশালী জলবন্টন চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, অভিন্ন নদীর তীরবর্তী দেশগুলোর বাণিজ্য, সংস্কৃতি, আন্ত:সংযোগ বৃদ্ধি তথা সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য অভিন্ন নদীসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নদী অববাহিকা বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়নে এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।  এক্ষেত্রে, ন্যাচারেল এলাইজ ইন ডেভেলপমেন্ট এন্ড ইন্টারডিপেন্ডেন্স (নাদী) নীতি ও কাঠামো তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সরকার বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বিগত তেরো বছরে বিদ্যুৎ খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য বাংলাদেশ অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ইস্যুসমূহ বিদ্যুৎ আইন- ২০১৮ তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত এবং ভূটান থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক সই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জলবিদ্যুৎ হতে পারে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাময় উৎস।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়