বাসস
  ২৬ মে ২০২২, ১৮:৩০

হজ প্যাকেজে ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধি 

ঢাকা, ২৬ মে, ২০২২ (বাসস) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত হজের ব্যয় সম্পর্কিত  তথ্যের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত (প্রভিশনাল)  প্যাকেজ-১ এবং প্যাকেজ-২ এর সাথে সৌদি আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় হিসেবে আরো  ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সব তথ্য জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী  জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষ  পবিত্র হজে  মিনায় অবস্থান স্থলে ও প্রদেয় সেবার মূল্যকে ৪ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ৪ ধাপের ব্যয়ে নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ “ডি” ও “সি” প্রকাশ করেছে।  উক্ত তথ্য অনুযায়ী  মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে ৮ হাজার ৬৪০ সৌদি রিয়াল এবং ‘ডি’ অনুসারে ৭ হাজার ৪৯০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। এই সেবা মূল্য বিবেচনায় মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে  ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা এবং মোয়াল্লেম ফি ‘ডি’ অনুসারে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। 
তিনি জানান, বাংলাদেশের হজযাত্রীদের আর্থসামাজিক অবস্থা ও হজযাত্রীদের প্রতি বর্তমান সরকারের সহানুভুতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সেবা থেকে কিছু অর্থ সাশ্রয়   করে  উভয় প্যাকেজে ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।  
ফরিদুল হক খান বলেন, উক্ত টাকা  জমা দেয়ার জন্য ২৮, ২৯ ও ৩০ মে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তিনি এ সময়  সাংবাদিকদের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য অনুরোধ জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,  টাকা জমা দেয়ার  লক্ষ্যে আগামী ২৮ মে শনিবার দেশব্যাপী তফসিলি ব্যাংকসমূহ খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে  অনুরোধ জানানো হয়েছে। 
তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নতুন ধার্যকৃত অর্থ সেল প্রসিডস অব হজ ডিপোজিট (হিসাব নম্বর ০০০২৬৩৩০০০৯০৮) নামে পে-অর্ডার প্রস্তুত করে হজ অফিস, ঢাকায় ৩০ মে’র মধ্যে জমা দিবেন। এক্ষেত্রে, মাহরামসহ হজযাত্রীদের একসঙ্গে পে-অর্ডার প্রস্তুত করতে হবে। পে-অর্ডার গ্রহণের জন্য হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সমপরিমাণ অর্থ স্ব স্ব এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা দিবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান,  গত  ১১ মে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন জানানো হয়েছিল, “প্যাকেজ ঘোষণার পর রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত কোন চার্জ আরোপ করা হলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। কোন অর্থ অব্যয়িত থাকলে তা হাজীদের ফেরত প্রদান করা হবে”।
তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে রাজকীয় সৌদি সরকার হজের ঘোষণা বিলম্বের জন্য এবং সৌদি আরব থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী না পাওয়ায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে প্রভিশনাল হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়