ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ (বাসস) : সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার প্রথম দিনে অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, এ ভাষণে দেশের প্রতিটি খাতে এ সরকারের আমলে অর্জিত বিস্ময়কর উন্নয়নের চিত্র নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি গত ১৬ জানুয়ারি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য সামসুল হক টুকু।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় আজ অংশ নেন সরকারি দলের মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, প্রাণ গোপাল দত্ত, নরুন্নবী চৌধুরী, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, হাবিবুর রহমান, কাজী নাবিল আহমেদ, নেসার আহমেদ, সৈয়দা রুবীনা আখতার, সুবর্ণা মোস্তাফা, মমতা হেনা লাভলী, নার্গিস জামান, বেগম জাকিয়া পারভীন খানম, বিএনপির রুমীন ফারহানা, ওয়ার্কার্স পার্টির লুৎফুন্নেসা খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে গত সাড়ে ১৩ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে একটি প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। স্বল্প মাত্র সময়ে বাংলাদেশের এ উন্নয়ন বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় হচ্ছে।
তারা বলেন, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল। দেশ থেকে একে একে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংশ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে তাদের দেশের ক্ষমতার ভাগ দেয়া হয়েছিল। ইনডেমনিটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আর দেশকে তারা দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন করেছে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নেয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশ আবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পরিচালনা করে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। সাথে সাথে আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ আইন করে ৭১ এর ঘাতকদের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম, গতিশীল ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে এসব সম্ভব হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য ছেলে সজীব আহমেদ জয়ের হাত ধরে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর হয়েছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করে বিশ্বে স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হিসাবে দেশকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ২ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া দক্ষতার সাথে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। করোনাকালে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ। এধারা অব্যাহত রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য তারা নতুন করে শুরু হওয়া ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।