বাসস
  ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪০

পটুয়াখালীর চার সংসদীয় আসনে ২৮ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

ফাইল ছবি

এনামুল হক এনা

পটুয়াখালী, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট ২৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গত সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) হেভিওয়েট প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

পটুয়াখালী-১ (সদর মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. ওহাব মিনার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা কমিটির সদস্য আবুল হাসান বোখারী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত মোহাম্মদ সাইয়েদুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

একই আসনে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জাসদ মনোনীত গৌতম চন্দ্র শীল, জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন মঞ্জু মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপির সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মালেক হোসেন, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ আইউব, গণঅধিকার পরিষদের মো. হাবিবুর রহমান এবং এবি পার্টির রুহুল আমিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) এই আলোচিত আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলম, ইসলামী আন্দোলনের মুহা. আবু বকর সিদ্দীকী, গণঅধিকার পরিষদের মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, খেলাফত মজলিসের দেলোয়ার হোসাইন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ফজলুল হক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন মনোনীত (বিএনপির সাবেক এমপি) মোস্তাফিজুর রহমান, রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও খেলাফত মজলিস মনোনীত ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ আবদুল কাইউম এবং গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য মো. রবিউল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল দায়ের করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২১ জানুয়ারি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বাসসকে জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। পাশাপাশি ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রশাসনিক ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।