শিরোনাম

ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তাঁর আপোসহীন নেতৃত্বের ফলে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে জাতি বারবার মুক্ত হয়েছে, মুক্তির অনুপ্রেরণা পেয়েছে।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় এ অনুভূতি ব্যক্ত করেছে।
ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রাম ও প্রতিরোধের এক অনন্য প্রতীক। তার আপোসহীন ভূমিকা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে জাতিকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। রাজনৈতিক সাফল্যের কারণেই বেগম খালেদা জিয়া চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাঁকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দীর্ঘদিন তাকে কারাবাস করতে হয়েছিল। তবুও তিনি কোনো অন্যায় কিংবা আধিপত্যবাদের কাছে মাথানত করেননি। বাংলাদেশকে তিনি তার একমাত্র আপন ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তার আপনজন ছিল এই দেশের জনগণ। সে কারণে বহু ঘাত-প্রতিঘাতের শিকার হয়েও তিনি তাঁর প্রিয় জনগণকে ছেড়ে যাননি।
সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও জাতির কল্যাণে খালেদা জিয়া তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় মনোবল সব সময় পথ দেখিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত রাজনীতিককে হারালো। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন, যিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন।
বিশেষ করেন তাঁর স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর ১৯৮২ সালে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে আসা বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব স্বৈরশাসক এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুঃশাসনের পতন ঘটাতে প্রধান ভূমিকা রাখে।
সাদা দলের নেতারা আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বহু কর্ম ও সিদ্ধান্ত দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে।
তিনিই প্রথমবারের মতো মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তি চালু করেন, যা বাংলাদেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। তিনি যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন এসব কার্যক্রম ও বিরল সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ বহন করে চলেছে।
ঢাবি সাদা দলের নেতারা আরও বলেন, রাজনৈতিক জীবনে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন ভীষণভাবে সফল। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলোতে তিনি পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০৮ সালে তিনি যে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেখানেই তিনি জয়লাভ করেছিলেন। এককথায় তিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতির একটি মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেন।