বাসস
  ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:১৬
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:২১

নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত

ফাইল ছবি

ভুবন রায় নিখিল

নীলফামারী, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): জেলাজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। মঙ্গলবার দিনভর আকাশে সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। শীতের এমন দাপটে বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটেখাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্র মতে, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

শীতের এমন তীব্রতায় মানুষের উপস্থিতি কমেছে শহর এবং গ্রামের দোকানপাট, হাট-বাজারে। ক্ষেতে খামারে উপস্থিতি কমেছে কৃষি শ্রমিকদের। শীত নিবারণে পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাব বিরাজ করছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে।

সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের রিকশাচালক একরামুল হক (৫০) বলেন,‘ শীতোত হামার কামাই কমিছে। আগোত ৭০০ টাকা কামাই হইতো। এলা (এখন) কামাই হয় ৩০০ থাকি ৪০০ টাকা। কষ্ট করি সংসার চালেবার লাগেছে’।

জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষিশ্রমিক রঞ্জিত রায় (৬৫) বলেন, ‘ঠা-ত হামেরা কাম-কাজ করির পারেছি না মাঠোত। গরম কাপড়ের অভাবোত ঘরত বসি আগুন তাপেয়া শরীর গরম করেছি’।

একই গ্রামের গৃহিনী সুন্তি বালা (৪০) বলেন, ‘চাইরদিন ধরি আকাশোত বেলা (সূর্য) দেখা যাছে না। ররআতের (রাত) এবং সাকালে (সকাল) কুয়াশাত শীত আরো বেশি লাগেছে’।

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, আজ মঙ্গলবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন চলবে। জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ হবে।

এদিকে তীব্র শীতে দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষে কষ্ট লাঘবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে নীলফামারী জেলা প্রশাসন। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘জেলার ছয় উপজেলায় দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে ইতিমধ্যে ১৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরো বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেটি দিয়ে কম্বল ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া আরো ৪০ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে’।