বাসস
  ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০৮
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:৩৯

চীন-বাংলাদেশ মিডিয়া বিনিময়ের ভিত্তি হল জনগণের জীবন ও সংস্কৃতি : চীনা রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি -সংগৃহীত

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, মিডিয়া বিনিময়ের ফলে দু'দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি বুঝতে শেখা যায়।
মিডিয়া বিনিময় একে অপরের কাছ থেকে শিখতে সাহায্য করে।

তিনি আরও বলেন, চীন-বাংলাদেশ মিডিয়া বিনিময়ের ভিত্তি হল উভয় দেশের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতি। এটি দু'দেশের মধ্যে ন্যায্যতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করে।

বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড’ বাংলাদেশ ও চায়নার ১০টি মিডিয়া গ্রুপ নিয়ে গঠন করা হয়েছে। এটি চীন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি এবং বন্ধুত্বকে স্থায়ী করতে সহযোগিতা করে।

তিনি আরও বলেন, গোল্ডেন সিল্ক রোড প্ল্যাটফর্ম একে অপরের কাছ থেকে শেখার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ হয়ে রইবে এবং এটি মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে। গণমাধ্যম পেশাদারদের পরিশ্রমের কারণেই 'গোল্ডেন সিল্ক রোড' এত জ্বলজ্বল করছে। তার বিশ্বাস এটি উভয় দেশের সভ্যতাগুলোর মেলবন্ধনে সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করবে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এটি চীন-বাংলাদেশ জনগণের সঙ্গে জনগণের আদান-প্রদানের বছরও। আগামী বছর, বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগদানের ১০ বছর পূর্ণ করবে।

 

তিনি জানান, চীন তাদের জনগণকে গুরুত্ব দিয়ে উচ্চমানের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চায়না একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে, যেখানে সবার উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। প্রযুক্তি স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি করা হবে এবং সবুজায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এটিই চীনের উন্নয়নের মাধ্যম।

চায়না-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের গল্পগুলোকে মিডিয়ায় প্রচারের আশা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আশা করি, দুদেশের মিডিয়া চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের গল্পগুলোকে জীবন্ত করে তুলে ধরবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করবো, যেখানে আমাদের জনগণের মধ্যে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে। ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড’ সকলের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের জন্য একটি উজ্জ্বল অধ্যায় উন্মোচন করবে।

অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে গণমাধ্যমকর্মীদের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন ভোরের কাগজ পত্রিকার এস এম নাজমুল হক ইমন। ভিজুয়্যাল ক্যাটগরিতে প্রথম হন বিডি নিউজ টুয়ান্টি ফোর এর মাহমুদ জামান অভি। অর্থনীতি ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন ডেইলি সানের মুনির হোসেন। সংবাদ প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন রূপালী বাংলাদেশের সেলিম হোসেন। এছাড়া, মিডিয়া ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন আরটিভির ইমরুল হাসান।

ভিজুয়্যাল ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

মাহবুব মোর্শেদ বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চীন-বাংলাদেশের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি হচ্ছে। এ ধরণের প্রোগ্রামগুলো ভবিষ্যতেও চালু থাকা উচিত। এতে করে দুই দেশের মানুষে-মানুষে সম্পর্ক গভীর হয়। সংস্কৃতি বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়। এই আয়োজন আগামীতেও চালু থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মাহবুব মোর্শেদ।

অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলসহ চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।