শিরোনাম

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, জাতির গর্বিত কৃতী সন্তান এবং সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মরহুম আব্দুল করিম খন্দকার (এ কে খন্দকার) বীর উত্তমের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার বাদ আসর ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এর ফ্যালকন হলে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, মরহুমের পরিবারের সদস্যগণ, বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, শান্তি এবং জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মরহুম এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, একজন দূরদর্শী নেতাও ছিলেন। যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠোর মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন এবং তার যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এছাড়াও, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, বীর উত্তমকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তার অনন্য সাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’ এ ভূষিত করে।