বাসস
  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:২৭

মামলা পরিচালনায় সরকারি কর্মকর্তাদের আইনি জ্ঞান থাকা আবশ্যক : তথ্য সচিব

ছবি : বাসস

রংপুর, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, সরকারি স্বার্থ সমুন্নত রাখা এবং মামলার জট নিরসনে সরকারি কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, সুশৃঙ্খল সমাজ ও দক্ষ প্রশাসন গড়তে দাপ্তরিক কাজে সঠিক আইন প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই।

আজ বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘মামলা পরিচালনায় সহায়ক আইনকানুন, এসএফ লেখার কৌশল ও করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, আইন কর্মকর্তা (জেলা জজ) মো. মাসুদ পারভেজ, যুগ্মসচিব ড. মো. আলম মোস্তফা, উপসচিব শারমিন সুলতানা।

রিসোর্স পারসনরা সরকারি মামলার জবাব, এসএফ (স্টেটমেন্ট অব ফ্যাক্টস) তৈরির খুঁটিনাটি ও বিভিন্ন আইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইনজীবীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি, সঠিক তথ্য, প্রমাণ ও যুক্তি উপস্থাপনে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আবশ্যক বিধিমালা ও আইন সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকলে বাদি-বিবাদির ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সহজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দেশকে ভালোবেসে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় ও আইন মেনে সরকারের হাত শক্তিশালীকরণে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগাতে উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো আইন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা।

তিনি বলেন, সঠিক আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা পরিচালনা করলে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা পাবে এবং দীর্ঘসূত্রতা ও আইনি জটিলতা থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।

তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের এই কর্মশালা থেকে অর্জিত জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানান।

রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রংপুর বিভাগে কর্মরত তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।