শিরোনাম

চট্টগ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আজকের দ্রুত অগ্রসরমান চিকিৎসা পরিমণ্ডলে উচ্চমানের শিক্ষা ও অর্থবোধক গবেষণার সমন্বয় আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভবিষ্যৎ গঠনে অপরিহার্য।
তিনি বলেন, গবেষণা-ভিত্তিক শিক্ষা কেবলমাত্র একাডেমিক মান উন্নত করে না, বরং আমাদের ক্লিনিশিয়ান এবং শিক্ষকদের এমন সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও অভিযোজিত দক্ষতা প্রদান করে যেগুলি তারা উদীয়মান স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ‘ইনস্টিটিউশনাল সিম্পোজিয়াম ফর মেডিকেল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আইএসএমইআর)-২০২৫’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
‘গবেষণা এবং চিকিৎসা শিক্ষা; উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিতকরণ ও বৈশ্বিক স্বীকৃতি নিশ্চিতকরণ’ এই প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের যৌথ উদ্যোগে এই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়াম কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে ৬০০জন চিকিৎসক, গবেষক, একাডেমিশিয়ান ও ভবিষ্যৎ গবেষক অংশ নেন। সিম্পোজিয়ামে সর্বমোট ১২টি সেশনে ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। যার মধ্য থেকে ৪৯টি অরজিনাল গবেষণা প্রবন্ধ।
সম্মেলনের দু’টি প্লেনারি সেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফায়েজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, বিএমইএসি’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. হুমায়ন কবির তালূকদার. কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, পাকিস্তানের মারগালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোডন্টিকস এর অধ্যাপক ডা. আফিফ ওমর জিয়া, থাইল্যান্ডের মাহিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যামিলি হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কানিথা চামরুনসোয়াসদী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, শিক্ষক, চিকিৎসক এবং গবেষকদের একত্রিত করে এই সিম্পোজিয়াম একটি মূল্যবান ফ্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে যেখানে গঠনমূলক আলোচনা, উদ্ভাবনী ধারণার বিনিময় এবং সহযোগিতামূলক অন্বেষণ সম্ভব হচ্ছে। এই ধরনের অংশগ্রহণ আমাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করে এবং ক্লিনিক্যাল অনুশীলন, একাডেমিক উৎকর্ষ ও রোগীর চিকিৎসায় উন্নতি সাধনে সহায়ক হয়।
তিনি বলেন, গবেষণা নির্ভর চিকিৎসা শিক্ষা আমাদেরকে কেবল নতুন জ্ঞান তৈরি করাই নয়, তা বাস্তবে প্রয়োগ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য অগ্রাধিকারসমূহকে সমর্থন করতে সক্ষম করে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে চট্টগ্রামকে হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলি। ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল নিয়মিতভাবে সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করছে, তা হেলদি সিটি গড়ার জন্য জ্ঞান উৎপাদনের দিক থেকে সহায়ক। বিশেষ করে ইনোভেটিভ ও সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে তারা যে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তা আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইনস্টিটিউশনাল সিম্পোজিয়াম ও সেমিনারের মধ্য দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ চিকিৎসা উদ্ভাবন এবং চিকিৎসকদের দক্ষতা আরো শাণিত হচ্ছে।
সিম্পোজিয়ামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডিন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, সার্জিক্যাল ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদ করিম, বেসিক ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক অজয় দেব, মেডিকেল টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন ডা. ইব্রাহিম চৌধুরী।