বাসস
  ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৪

প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তা দেওয়া হবে : কেএমপি কমিশনার

বুধবার বিকেলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) প্রেস কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করেন নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান। ছবি : বাসস

খুলনা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেছেন, প্রার্থীরা আবেদন করলে নির্বাচনের সময় তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, আবেদনে প্রার্থীদের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে— তারা কী ধরনের হুমকির মুখে আছেন। এরপর বিষয়টি পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট সিটিএসবি’র মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। তদন্তে হুমকির সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

আজ বিকেলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) প্রেস কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, কেউ নির্বাচনে নাশকতা করার সুযোগ পাবে না। অন্তত আমার মেট্রোপলিটন এলাকায় আমি তেমন কিছু দেখছি না।

তিনি জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভূতপূর্ব উদ্যোগ নিয়েছে।

আজ সকালে খুলনায় নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের জন্য তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা ব্যবহার, যেকোনো পরিস্থিতিতে ভোট বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসরণ করা হচ্ছে এবং প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, তিনি সম্প্রতি যোগদান করেছেন। তবে, তিনি ইতোমধ্যে জেনেছেন যে, শহরে তিনটি অপরাধী চক্র সক্রিয় রয়েছে এবং বিষয়টি মোকাবিলায় কাজ শুরু হয়েছে।

ডিজিটাল অপরাধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী অপরাধীদের ধরতে পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, অপরাধীরাও প্রযুক্তিগতভাবে আরো উন্নত হয়েছে এবং সাধারণ ফোনকলের পরিবর্তে হোয়াটসঅ্যাপের মতো এনক্রিপটেড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তারপরও পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাম্প্রতিক আদালত প্রাঙ্গণে হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়। যথাসময়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড প্রোটোকল) মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) এস. এম. শাকিলুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) টি. এম. রোকনুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।