শিরোনাম

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বক্তারা আজ এক সেমিনারে মানবপাচারের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করতে ভবিষ্যৎ আইন শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতায় সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
এ লক্ষ্যে তারা আইন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুক্তভোগী-কেন্দ্রিক, ট্রমা-সংবেদনশীল এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যাতে তারা ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) যৌথভাবে চবিতে ‘ন্যায়বিচারের জন্য শিক্ষা : মানবপাচার প্রতিরোধে আইন স্নাতকদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে। আইওএম’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সেমিনারে জ্যেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা এবং আইন পেশাজীবীরা অংশ নেন। তারা আইনি শিক্ষায় বিদ্যমান ঘাটতি এবং মানবপাচার বিরোধী আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং আইওএম’র পক্ষ থেকে চবির আইন বিভাগে রেফারেন্স বই হস্তান্তর।
মানবপাচার প্রতিরোধে তরুণ সমাজ ও শিক্ষাবিদদের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার আইওএম’র কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, আইওএম’র অনুদানে এবং কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)-এর সহায়তায় আইন বিভাগের সেমিনার হলে একটি বুক কর্নার উদ্বোধন করা হয়, যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে।
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম জাফর উল্লাহ তালুকদার এবং আইওএম’র হেড অব প্রোটেকশন পূজা ভল্লা। তারা ভবিষ্যৎ আইন পেশাজীবী তৈরিতে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও বিচার বিভাগীয় খাতের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
মূল প্রবন্ধে চবির আইন বিভাগের অধ্যাপক এ.বি.এম. আবু নোমান স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে মানবপাচার আইন অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে একটি ইন্টার্যাকটিভ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তদন্ত, প্রমাণ সংগ্রহ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন খান ভবিষ্যৎ আইনজীবীদের নৈতিক দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে ভুক্তভোগীদের অধিকার সুরক্ষার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, একজন পেশাজীবীর জন্য কেবল আইন, বিধি ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জ্ঞান থাকাই যথেষ্ট নয়; বরং একাডেমিক আগ্রহ সৃষ্টি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিচার বিভাগীয় খাতের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।