শিরোনাম

ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ ‘জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য ক্ষয় ও দূষণ’- এই ত্রি-মাত্রিক বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় দৃঢ়, সমন্বিত ও যথাযথ অর্থায়ন সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এ আহ্বান জানান।
তিনি বৃহস্পতিবার কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সপ্তম অধিবেশন (ইউএনইএ-৭)-এর প্লেনারিতে বাংলাদেশের ন্যাশনাল স্টেটমেন্ট উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন।
সচিব ইউএনইএ-৭ কে রাসায়নিক ও প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিরোধ, নিরাপদ বিকল্প এবং সার্কুলারটি নিশ্চিত করে জীবনচক্রভিত্তিক সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়াও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পূর্বানুমানযোগ্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সচিব বলেন, পর্যাপ্ত সম্পদ ও প্রযুক্তি সহায়তা ছাড়া জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এ সংকটের মোকাবিলা করতে পারবে না।
উন্নয়নশীল দেশের ওপর আর্থিক চাপের বিষয়টি তুলে ধরে পরিবেশ ফারহিনা আহমেদ বলেন, “সহায়তার অভাবে সরকারগুলোকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত থেকে অর্থ সরিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় করতে হয়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে।” তিনি ইউএনইএ-৭ কে বিভিন্ন বহুপক্ষীয় পরিবেশ চুক্তির মাধ্যমে সমন্বিত ও সুষমভাবে সম্পদ আহরণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাপী মোট নিঃসরণের ০ দশমিক ৫ শতাংশেরও কম অবদান রেখে বাংলাদেশ জলবায়ু নেতৃত্বের পরিচয় দিচ্ছে- এ কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক সময়সীমার মধ্যে জমা দেওয়া বাংলাদেশের উন্নত এনডিসি ৩.০-এ ২০৩৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বর্তমান সক্ষমতার পাঁচ গুণ। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি-২০২৩) বাস্তবায়ন এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে।
এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে প্লেনারিতে উপস্থিত ছিলেন।