শিরোনাম

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সি আর আবরার বলেছেন, স্থাপত্য কেবল অবকাঠামো নির্মাণ নয়, এটি মানুষের জীবন, আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যৎকে গড়ে তোলার একটি সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, খ্যাতনামা স্থপতি, শিল্পপতি ও চিন্তাবিদদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ আর্ক সামিট ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) আয়োজিত এ বছরের সামিটের প্রতিপাদ্য ‘ক্র্যাফটিং স্পেস, শেপিং হ্যাবিট্যাট’, যা স্থাপত্যের রূপান্তরমূলক শক্তিকে- মানুষ, সমাজ ও নির্মিত পরিবেশ গঠনে তার ভূমিকা-উদ্ভাসিত করে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্থাপত্যচর্চার একটি গতিশীল মঞ্চ তৈরি করার জন্য আইএবির প্রশংসা করেন।
সামিটে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট স্থপতি ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন, যা বৈশ্বিক স্থাপত্য-আলোচনায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে।
আগামী দুই দিনে সামিটে আলোচনা হবে টেকসই নগরায়ন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন, জলবায়ু সহনশীলতা ও কমিউনিটি, কেন্দ্রিক নকশা, উপকরণ ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং ঘন-উষ্ণমন্ডলীয় নগর নকশার চ্যালেঞ্জ নিয়ে।
দুটি উচ্চপর্যায়ের রাউন্ডটেবিল আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বর্তমান পেশাগত বাস্তবতায় নবীন স্থপতিদের প্রস্তুত করা, এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, লিঙ্গসমতা ও জটিল নীতিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে স্থাপত্য ফার্মগুলোর সক্ষমতা উন্নয়ন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আর্ক সামিট দেশের টেকসই উন্নয়ন, স্থিতিশীল অবকাঠামো এবং জ্ঞানভিত্তিক ভবিষ্যতের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এই সামিট সফল হোক, এবং এখানকার ধারণা ও আলোচনা আমাদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে বাস্তব রূপ লাভ করুক।
এ সময় উপদেষ্টা সদস্যদের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্তত একশ’টি ঘর নির্মাণের সামাজিক উদ্যোগকে প্রশংসা করেন।
এ বছর প্রায় ৮০০ নতুন স্থপতি আইএবিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের নৈতিকতা, সহমর্মিতা, উদ্ভাবনশীলতা ও জনকল্যাণের দায়িত্ববোধই গড়ে দেবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নগর, কমিউনিটি ও ভূদৃশ্য।’