শিরোনাম

ফেনী, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): জেলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে (৬ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হওয়া ফেনী মুক্ত দিবস উদযাপন চলছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক মনিরা হক ও জেলা পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম শহরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন, জেলা পরিষদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন ভিপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ফেনী ইউনিট, ফেনী পৌর প্রশাসন, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী সদর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে জেল রোড প্রদক্ষিণ করে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মনিরা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন ভিপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ফেনী ইউনিটের আহবায়ক আবু নাসের চৌধুরী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মেরাজুল করিম মানিক, আব্দুল মোতালেব, জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, এনসিপির সদস্য সচিব শাহ ওয়ালী উল্লাহ মানিক, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল, হেফাজতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, খেলাফত মজলিসে জেলা সভাপতি মাওলানা মোজাফফর আহমদ জাফরী প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মনিরা হক বলেন, “আজকে ফেনীর মানুষ এবং ফেনীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিন যারা রণাঙ্গনে ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এ স্বাধীনতা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। ফেনী মুক্ত দিবস পালনের এ ক্ষণে এ কামনা করি ফেনীতে সবুজ পতাকা যেটা ৬ ডিসেম্বর উত্তলিত হয়েছে, সেটা কখনো যেন ফ্যাসিবাদের রাহু কবলিত যেন না হয়।”
পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে যে বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা ছিল ফেনী একটি প্রতীক। ফেনী মুক্ত দিবস শুধু ফেনীর জন্য নয়, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি অগ্রযাত্রার প্রতীক হয়েছিল।’