শিরোনাম

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৮৯১.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যা আগের মাসের তুলনায় ১.৭৭ শতাংশ বেশি। মাসওয়ারি ধারাবাহিক এই বৃদ্ধি দেশের রপ্তানি খাতে স্থিতিশীল গতি বজায় থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ২০,০২৮.৫৯ মিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৬২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৯,৯০৬.০১ মিলিয়ন ডলার।
যদিও নভেম্বর ২০২৫-এর রপ্তানি আয় নভেম্বর ২০২৪-এর তুলনায় ৫.৫৪ শতাংশ কমেছে, মাসওয়ারি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের স্থিতিশীলতা ও অভিযোজন ক্ষমতার প্রমাণ দেয়।
নভেম্বর মাসে এককভাবে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত, যার আয় দাঁড়িয়েছে ৩,১৪০.৯৪ মিলিয়ন ডলার।
নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, জাহাজ, চিংড়ি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। বৈচিত্র্যময় এসব খাত বাংলাদেশের সামগ্রিক রপ্তানি সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
প্রধান রপ্তানি গন্তব্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৪.২০ শতাংশ এবং ৩.০৪ শতাংশ।
উদীয়মান ও কৌশলগত কয়েকটি বাজারেও রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে-চীন (২৩.৮৩ শতাংশ), পোল্যান্ড (১১.৫৭ শতাংশ), সৌদি আরব (১১.৩৪ শতাংশ) এবং স্পেন (১০.৪৬ শতাংশ)। যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের বিস্তৃত উপস্থিতির প্রতিফলন।
বছর-বছর ওঠানামা থাকলেও ধারাবাহিক মাসওয়ারি বৃদ্ধি, প্রধান প্রধান খাতের শক্তিশালী পারফরম্যান্স বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের স্থিতিস্থাপকতা, প্রতিযোগিতামূলকতা এবং ইতিবাচক সম্ভাবনাকে আরও সুদৃঢ় করছে।