শিরোনাম

সাতক্ষীরা, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের খাল ও চরাঞ্চলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ কেজি শামুক ও ঝিনুকসহ ৮ জনকে আটক করেছে বনবিভাগের সদস্যরা।
গতকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের আওতাধীন কঞ্চির খাল এলাকা থেকে ৪টি নৌকা ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তাদের আটক করা হয়। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. ফজলুল হক আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শামুক ও ঝিনুকগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, খুলনা জেলার কয়রা থানার ৫ নং কয়রা গ্রামের ওয়াজেদ বলী গাজীর পুত্র আব্দুল ওয়াদুদ গাজী (৪০), মৃত হাজির উদ্দিন সানার পুত্র খলিল সানা (৫৯), আবু তালেব গাজীর পুত্র শফিকুল গাজী (৪৫), মৃত সবেদ আলী গাজীর পুত্র দেলবর গাজী (৫৭), মৃত আবু বক্কর গাজীর পুত্র গোলাম মোস্তফা (৩৫), ৪ নং কয়রা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী গাজীর পুত্র আবু সাইদ গাজী (৫৫), মৃত আরশাদ গাজীর পুত্র গফফার গাজী (৫১) ও সামসুর সানার পুত্র মাসুম বিল্লাহ (৩৪)।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের আওতাধীন কঞ্চির খাল এলাকায় কয়েকজন শামুক ও ঝিনুক কুড়িয়ে তা বিদেশে পাচার করার জন্য মজুত করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে শামুক-ঝিনুকসহ আট জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৪টি নৌকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। তবে আটক ব্যক্তিদের কাছে মাছ এবং কাঁকড়া ধরার পাশ ছিলো।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. ফজলুল হক জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা), আইন ২০১২ অনুযায়ী তফশিল-২ এ বর্ণিত শামুক ও ঝিনুক ধরা, পরিবহন ও ব্যবসা করা নিষিদ্ধ।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত শামুক ও ঝিনুকগুলো সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অবৈধভাবে সম্পদ সংগ্রহ বা পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বনবিভাগের ধারাবাহিক অভিযানে এ অঞ্চল থেকে গত ৭ সেপ্টেম্বর ৬৯০ কেজি, ২৭শে নভেম্বর ৮৬০ কেজি ও ৩ ডিসেম্বর ৬০০ কেজি শামুক ও ঝিনুক জব্দ করে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়।