বাসস
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:২০
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪১

মুন্সীগঞ্জে বীজতলা তৈরি ও চারা উৎপাদনে ব্যস্ত কৃষক

মুন্সীগঞ্জে চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজির চাষ নিয়ে বীজতলা প্রস্তুতি, চারা উৎপাদন ও বিক্রি বিষয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি : বাসস

।। মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।।

মুন্সীগঞ্জ, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মুন্সীগঞ্জে চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজির চাষ নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বীজতলা প্রস্তুত, চারা উৎপাদন ও বিক্রি নিয়ে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় উৎপাদিত চারা ও সবজিতে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। তাই তাদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।

মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯৬৯ হেক্টর, টংগিবাড়ীতে ৫০০ হেক্টর, শ্রীনগরে ৬৭০ হেক্টর, সিরাজদিখানে ১ হাজার ৬০২ হেক্টর, লৌহজংয়ে ৪২৫ হেক্টর এবং গজারিয়ায় ৭৩৪ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। 

আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৩ টন শাকসবজি। সরকার থেকে চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫০০ জন বসতবাড়ির এবং ২ হাজার ৭০০ জন মাঠ কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।

জেলায় কৃষকরা মূলত ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, টমেটো, ব্রকলি, কুমড়া, লাল শাক , পালংশাক , মুলা প্রভৃতি সবজির চারা বিক্রি ও চাষ করে থাকেন। 
সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ভট্টাচার্যেরবাগ গ্রামের দুলাল শিকদার চলতি মৌসুমে ৪২ শতাংশ জমিতে বীজতলা করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। তিনি জানান, চারা উৎপাদনে বীজতলার অধিক যত্ন নিতে হয়। সবজি চারা উৎপাদনে বিনিয়োগ করে অর্ধেক পরিমাণ লাভ হয়। 

রামপাল ইউনিয়নের ধলাগাঁও গ্রামের কৃষক কামাল শেখ বলেন, মুন্সীগঞ্জের উচু জমির মালিকরা একই জমিতে ৩ থেকে ৪ বার সবজি বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে পারেন। এখানকার বীজতলার চারা উৎকৃষ্ট মানের হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকের কাছে এর চাহিদা বেশি। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর এখানকার সবজির চারা কেরানীগঞ্জ, সাভার, মানিকগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে চারা উৎপাদনে সরকার থেকে কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদন এ অঞ্চলে লাভজনক পেশা। মুন্সীগঞ্জে চারা উৎপাদনে জৈব সার ও খৈল ব্যবহার হওয়ায় এখানকার চারার গুণগতমান ভালো। উৎপাদিত চারা জেলার স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা পূরণ করে দেশের ২৫টি জেলায় বিক্রি হচ্ছে।