বাসস
  ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:৪৮
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:৫৩

আইটেক সহযোগিতায় ভারতের অঙ্গীকার তুলে ধরলেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আইটেক কর্মসূচি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতায় ভারতের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এটি অংশীদার দেশগুলোকে প্রয়োজনভিত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা দিয়ে আসছে। 

ঢাকায় ‘আইটেক ডে ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

ভারতীয় হাইকমিশন ও বাংলাদেশ আইটেক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (আইএএবি) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রণয় ভার্মা বলেন, আইটেক ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতার মূল ভিত্তিগুলোর একটি। এটি পারস্পরিক উন্নয়ন ও যৌথ অগ্রগতির ধারণায় প্রতিষ্ঠিত। 

তিনি আরও  জানান, এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি পেশাজীবী আইটেকের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। 

হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য  জানানো হয়।

দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ‘সেতুবন্ধ’ এবং অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের ‘বিশ্বস্ত মাধ্যম’ হিসেবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশি আইটেক অ্যালামনাইদের ধন্যবাদ জানান হাইকমিশনার।

এ সময় তিনি আইএএবি-এর কে প্রশংসা করে বলেন, তারা সাবেক অংশগ্রহণকারীদের এক ছাতার নিচে এনে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করেছে।

হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রায় ১৫০ বাংলাদেশি আইটেক অ্যালামনাই যোগ দেন। অনেকেই ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।  প্রশাসন, প্রযুক্তি ও বিভিন্ন খাতভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেসব প্রশিক্ষণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তারা।

বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর), বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন (বিএইসি), বাংলাদেশ স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড রিমোট সেনসিং অর্গানাইজেশন (স্পারসো) এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি (বিএলপিএ)সহ বিভিন্ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আইটেক বর্তমানে ভারতের প্রধান উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচি। ১৬০টিরও বেশি দেশ এ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকে।

প্রতি বছর কৃষি, প্রশাসন, জনস্বাস্থ্য, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি, রিমোট সেন্সিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও উন্নত কম্পিউটিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩০০-এর বেশি বিশেষায়িত কোর্সে ১২ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।