ছবি : বাসস।

কুমিল্লা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কুমিল্লায় “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন: আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও গ্রামীণ রূপান্তর” শীর্ষক দুই সপ্তাহ মেয়াদি আফ্রিকান-এশিয়ান প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর আয়োজনে আজ সোমবার বার্ডে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আর্ডো (আফ্রিকান-এশিয়ান রুরাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন)-এর সহকারী মহাসচিব রামী এম. এ. এইচ. কিশাত।

বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বার্ড-এর মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আর্ডো-এর গবেষণা বিভাগের প্রধান ও প্রোগ্রাম সমন্বয়ক ড. খুশনুদ আলী।

এ কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন, শ্রীলংকা, মিশর, ভারত, ঘানা, জাম্বিয়া, নামিবিয়া, গাম্ভিয়া, পাকিস্তান, ওমান, মালয়শিয়া, ইসওয়াতিনি, কেনিয়া, মৌরিশাস এবং বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ২১ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 
এসময় বার্ডের অনুষদবর্গও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি রামী এম. এ. এইচ. কিশাত তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এ ধরনের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক কর্মশালা অত্যন্ত কার্যকরী ও সহায়ক। তাই আর্ডো সদস্য দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে নিয়মিতভাবে বার্ডে এই কর্মশালাগুলো আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের সাথে আর্ডো-এর এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় এসডিজি বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বার্ড কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।

সভাপতি ও বার্ড-এর মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রশিক্ষণার্থীরা এই কর্মশালার মাধ্যমে পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তকরণে সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সক্ষম হবেন। বার্ড ষাটের দশক থেকে সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকল্পে কাজ করে আসছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’

স্বাগত বক্তব্য দেন, বার্ডের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও কর্মশালা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পরিচালক আফরীন খান, কাজী ফয়েজ আহমেদ, যুগ্মপরিচালক আযমা মাহমুদা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বার্ডের কর্মকর্তারা বিনিময় সভা করেন এবং স্থানীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে গ্রামীণ উদ্ভাবন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। 

বার্ডের এই উদ্যোগ আফ্রিকান ও এশিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সাক্ষরতা, প্রযুক্তি ও নীতি বিনিময়ের এক সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। এতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির মধ্যে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং স্থানীয় উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার কার্যক্রম, সেশন ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সমন্বয় করার মাধ্যমে আগামী দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেন।