শিরোনাম

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করে যেসব নাগরিক ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন, তাদের নামই চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, সময়সীমার পর অর্থাৎ ১ নভেম্বর বা তার পরে যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা এ তালিকায় আসছেন না।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ‘চেকআউট ডেট’ বা সময়সীমা থাকে। সেই সময়সীমা ছিল ৩১ অক্টোবর। তাই ওই তারিখে ১৮ বছর পূর্ণ করে নিবন্ধিতদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি অক্টোবরের আগেই ১৮ বছর হয়ে থাকেন কিন্তু নিবন্ধন না করে অর্থাৎ নভেম্বরের ১ তারিখে বা তার পরে নিবন্ধন করেন-তাদের নাম তালিকায় যুক্ত করার সুযোগ নেই। তালিকা হালনাগাদে একটি সীমারেখা নির্ধারণ করাই নিয়ম।’
গত ১৮ নভেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন দেশের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। নতুন তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ হাজার ২৩৪ জন।
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় সচিব জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করা সব নাগরিককে নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় নারী ভোটার বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটার বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইসি এখন নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। সচিব বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করাই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং ইসি সেই অনুযায়ী কাজ করছে।