বাসস
  ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৫

শেবাচিম হাসপাতালে চালু হলো মৃগী রোগীদের ইইজি পরীক্ষা

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) পরীক্ষা। ছবি : বাসস

বরিশাল, ১ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো চালু হলো ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) পরীক্ষা। মৃগী, মস্তিষ্কের টিউমার, মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, স্ট্রোকসহ অন্যান্য স্নায়বিক রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাটি স্বল্প খরচে এ হাসপাতালে করা হচ্ছে।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় হাসপাতালের ২য় তালার ২০৩৭ নং কক্ষে ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) মেশিনটি সরবরাহ করা হয়।

তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেশিনটি চালু ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর সিলেট জিএম ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ওই প্রশিক্ষণে অংশ নেন শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ ২ জন মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিউরোমেডিসিন ও স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী এম. মনিরুল ইসলাম বলেন, ইইজি পরীক্ষাটি হলো হয় মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন স্নায়বিক রোগ নির্ণয় করা হয়। বিশেষ করে মৃগী, ঘুমের ব্যাধি ও মস্তিষ্কের টিউমার, মস্তিষ্কের আঘাত, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার পরিবর্তন শনাক্ত করতেও সাহায্য করে। 

তিনি বলেন, মেশিনটি গরিব রোগীদের জন্য অনেকাংশে উপকার হবে। কারণ বেসরকারিভাবে এই পরীক্ষা করতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকারও বেশি খরচ হতো। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে খরচ হবে মাত্র ৬শত টাকা।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর বলেন, এই মেশিনটি আমাদের হাসপাতালে পূর্বে ছিলো না। আমরা মেশিনটি ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করি, কিন্তু এরই মধ্যে বিনামূল্যে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি করে মেশিন বরিশাল, সিলেট ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়।

মেশিনটি দিয়ে আমরা এই অঞ্চলের গরিব রোগীদের সেবা দিতে পেরে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাহমুদ হাসান, সিনিয়র ক্লিনিক্যাল প্যাথোলজিস্ট ডা. আশিক দত্ত প্রমুখ।