বাসস
  ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:১৯

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনীমূলক মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ সেমিনারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা সভাপতিত্ব করেন।

সেমিনারে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহার উদ্ভাবিত ‘শান্তিগঞ্জ মডেল’ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করা এবং শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার বিষয়ে সৃজনশীল মডেলটি ‘শান্তিগঞ্জ মডেল’ নামে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এর মাধ্যমে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষকদেরও পরোক্ষভাবে মূল্যায়ন করা হয়।

এই বিশেষ মানোন্নয়ন পরীক্ষা ও র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সুনামগঞ্জে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করেছে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি, পরীক্ষায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং  বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠাসহ ঝরে পড়ার হার রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

‘শান্তিগঞ্জ মডেল’-এর প্রশংসা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সুনামগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গৃহীত এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। পরীক্ষার ভিত্তিতে স্কুল ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সত্যিই এক ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা। আমি মনে করি, সারা দেশে এই উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হলে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের ওপর জোর দিতে হবে। শিক্ষার মান নিয়ে যে উদ্বেগ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান, তা কাটাতে বাস্তবসম্মত ও নির্মোহ মূল্যায়ন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।