শিরোনাম

জেনেভা, ২১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএলও’র ৩৫৫তম গভর্নিং বডির অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে উপদেষ্টা এ সহযোগিতা কামনা করেন। আজ শুক্রবার এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ জনে নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য কমিয়ে আনা, ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের শর্ত শিথিল করা, কালো তালিকাভুক্তি নিষিদ্ধকরণসহ কিছু বিধান সংশোধিত আইনে যুক্ত করা হয়েছে। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শ্রমিক, মালিক ও অন্যান্য সরকারি অংশীজনের সাথে প্রয়োজনীয় আলোচনা, পরামর্শ ও সমঝোতা শেষে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে বলে তিনি মহাপরিচালককে অবহিত করেন।
আইএলও প্রটোকল অনুযায়ী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপদেষ্টা আইএলও কনভেনশন নং ১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০ এ বাংলাদেশের অনুসমর্থনের দলিল জমা দেন। সংস্থাটির পক্ষ থেকে মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবো এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শ্রম উপদেষ্টা দলিলে স্বাক্ষর করেন।
আইএলও মহাপরিচালক বর্তমান সরকারের স্বল্প সময়ে শ্রম আইন সংশোধন, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন অনুসমর্থনসহ শ্রম খাতে নানা সংস্কার বাস্তবায়ন করায় শ্রম উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। বর্তমান সরকারের আমলে সম্পন্ন হওয়া এসব সংস্কারের বিষয়ে আইএলও, সদস্য রাষ্ট্র ও ত্রিপক্ষীয় অংশীদারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে বলে তিনি জানান।
উপদেষ্টা এদিন সন্ধ্যায় গভর্নিং বডিতে যোগদান করা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করেন। সভায় আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া স্বাগত বক্তব্যে তিনি বর্তমান সরকারের সময়ে শ্রম খাতের সংস্কারে নানা অর্জন তুলে ধরেন এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ফিলিস্তিনি তরুণদের বেকারত্ব, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ না থাকায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করে শ্রম উপদেষ্টা পুনর্বাসন কার্যক্রমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানান। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা, শ্রমিক নিরাপত্তা, ব্যবসা-অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলাসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য তহবিল গঠনে এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি নাহিদা সোবহান উপস্থিত ছিলেন।