বাসস
  ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৮

মানিলন্ডারিং মামলায় সাকিব আল হাসানসহ ১৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব

কোলাজ : বাসস

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শেয়ার বাজার কারসাজি, অবৈধ লেনদেন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ আসামিকে আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

তাদের বিরুদ্ধে গত ১৭ জুন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারা ; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা; এবং দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১২০ বি/১০৯ ধারায় দায়ের মামলাটি করা হয়।

দুদক জানায়, মামলার তদন্ত অগ্রগতির অংশ হিসেবে ১৫ জন আসামিকে ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ তালিকার ২ নম্বর আসামি সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে আগামী ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।

এ মামলার প্রধান আসামি সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের (হিরু)।

দুদকের এজাহার অনুযায়ী, আসামি আবুল খায়ের অবৈধ উদ্দেশ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা লঙ্ঘন করে নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টসমূহে অসাধু উপায়ে ‘সিরিজ ট্রানজেকশন’, প্রতারণামূলক ‘অ্যাক্টিভ ট্রেডিং’ ও ‘গ্যাম্বলিং স্পেকুলেশন’-এর মাধ্যমে বাজার কারসাজি করে শেয়ার দর কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করেন। এতে বিনিয়োগকারীদের মোট ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দুদকের অভিযোগ।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাজার কারসাজির মাধ্যমে অর্জিত ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার অপরাধলব্ধ অর্থ আসামি আবুল খায়ের তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করে উৎস গোপনের চেষ্টা করেন। এছাড়া আবুল খায়েরের ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া যায়।