শিরোনাম

ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব প্রফেশনাল ফার্মেসী পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ৬ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসী অনুষদের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে। এছাড়া, ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় অনুষদের ৭ জন শিক্ষককে ডিন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া দুজনকে বাংলাদেশ র্ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি (বিপিএস) স্বর্ণপদক ও দুজনকে কথাশিল্পী সরদার জয়েনউদ্দিন স্বর্ণপদক দেয়া হয়।
২০২২ ও ২০২৩ সালের বি. ফার্ম. ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ, ৩য় বর্ষ ও ৪র্থ বর্ষ পেশাগত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ/নম্বর প্রাপ্ত ৮ জন শিক্ষার্থীকে বদরুন্নেসা গফুর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বৃত্তি এবং ১৬ জন শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ র্ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি (বিপিএস) বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ড. আসলাম হোসেন।
অনুষ্ঠানটি জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বাড়িয়েছেন।
কোনো অর্জন একক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য, শিক্ষক ও সমাজের অবদান স্মরণ করেই প্রতিটি সফলতা মূল্যায়ন করা উচিত।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত অগ্রগতি সমাজের অংশগ্রহণের ওপর নির্ভর করে। অভিভাবক, শিল্পোদ্যোক্তা, গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিকে সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কের শক্ত প্রমাণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের সাফল্য দূরদর্শী জাতীয় নীতির ফল এবং ফার্মেসী অনুষদ একটি ছোট অনুষদ হয়েও গবেষণা, র্যাঙ্কিং ও শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।