বাসস
  ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩:৫২
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০১

ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি : ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে

আজ রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিং করেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । ছবি : বাসস

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫(বাসস): চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে তাতে ‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। আজ সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ব্রিফিংএ বিএনপি মহাসচিব  দলের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের জনমত এবং বাংলাদেশের জনগণের দাবি ও প্রত্যাশা ছিল যেন পতিত স্বৈরাচার ও তার দোষরদের মানবতাবিরোধী ও নৃশংস, জঘন্য হত্যাকান্ড এবং গণহত্যায় অপরাধের বিচার করা হয়।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে আজকে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তার দুই দোসরের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়েছে।এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আইনের বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করা হয়েছে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসর সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের।

পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার কারনে প্রাপ্য সাজা কমিয়ে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি এ ব্যাপারে জনগণকে সদা সর্বদা সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সাথে বিএনপি অন্যান্য মামলায় অভিযুক্তদের সুবিচারের দাবি জানাচ্ছে।'

তিনি বলেন, ‘এই রায়ের ফলে আমরা মনে করি দীর্ঘ ১৬ বছরের গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার এবং ২০২৪ ছাত্র গণঅভ্যূত্থানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার সহস্রাধিক শহীদের আত্মা শান্তি পাবে এবং তাদের পরিবার পরিজনদের ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।'

আজ রাতে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

দুই ঘন্টা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং করেন বিএনপি মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড  আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু  মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।