বাসস
  ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২১:১৫

মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষায় বিশেষ কোটা

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিশেষ কোটা বা আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ সমাপ্ত করে যাওয়া মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের একটি দলকে হাইকমিশনে অভ্যর্থনা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যকার শিক্ষা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশি মেডিকেল কলেজগুলোতে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফায় ইন্টার্নশিপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত। এখানকার পাঠ্যক্রম, হাসপাতালভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বিশ্বমানের। সুতরাং শুধু একাডেমিক পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ইতিহাস, খাবার এবং মানুষের আতিথেয়তা উপভোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

হাইকমিশনার ড. নাজমুল বলেন, এই ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা কূটনীতি, পাবলিক ডিপ্লোমেসি, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সফট পাওয়ার বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ২২৪ টি আসন বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে ৬টি এমবিবিএস এবং ১টি বিডিএস আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। 

এদিকে মালদ্বীপের যোগ্য শিক্ষার্থীদের আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে সব নথিপত্র যথাযথভাবে সত্যায়িত থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী মেডিকেল শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ এখন অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। প্রতি বছরই সরকারি কোটা ও বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় মালদ্বীপের বহু শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছেন। যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করা মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মালদ্বীপের স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।