শিরোনাম

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিচার দাবি নিয়ে আজ সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোর সদস্য এবং আহতরা।
তারা আজ সকালে প্রথমে ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এরপর তারা হাইকোর্টের মাজার রোড সংলগ্ন গেটের সামনে অবস্থান নেন।
ট্রাইব্যুনালের রায় দেখতে আসা স্বজন ও আহতদের কারও হাতে শহীদ স্বজনের ছবি, কেউ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের একটাই দাবি- এই মামলায় হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।
যাত্রাবাড়ী থেকে আসা জুলাইয়ে আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রবিন বলেন, জুলাই আন্দোলনে যখন পুলিশের গুলি আমার পায়ে আঘাত করে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই ছিটকে পড়ে যাই। শত চেষ্টা করেও উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না। এরপর কিছু লোক টেনে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দিনগুলোতে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ছিল, যা আজও ভুলতে পারছি না। চোখের সামনে কতো মৃত্যু ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দেখেছি। ওই নির্মম বর্বরোচিত ঘটনার হুমুকদাতা হাসিনার বিচার হলে মনে হবে শহীদ ভাইদের রক্ত বৃথা যায়নি।
বাড্ডা থেকে আসা জুলাইয়ে আহত সাংবাদিক রিপন বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হই। সে বর্বরোচিত ঘটনার রেশ এখনো রয়ে গেছে। শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছি ক্ষত। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন।
এ রায় ঘোষণাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কয়েক স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা রয়েছে।