শিরোনাম

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান দমনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায় ঘোষণাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ (সোমবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।
সকালে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং অন্যান্য বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে। সাঁজোয়া যানসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
দোয়েল চত্ত্বর এলাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির গেইট ও আশপাশেও বিজিবির অতিরিক্ত টহল লক্ষ্য করা গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় পথচারীদের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। প্রতিটি ফটকে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। আইডি কার্ড দেখালে পায়ে হেঁটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসি চেয়ে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় প্লেকার্ড হাতে অবস্থান নিয়েছেন একাধিক শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলাটি হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় করা। আরেকটি মামলা করা হয়েছে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।