বাসস
  ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৪৮

সরকারের আরও বেশি আমন ধান কেনার আহ্বান রংপুরের কৃষকদের

রংপুরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের নেতারা প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ছবি: বাসস

রংপুর, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চলতি আমন মৌসুমে সরকারকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে চালের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ ধান কেনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের নেতারা ।

এবার আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৫০ হাজার টন ধান, ৬ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

কৃষক নেতারা বলেন, ৬ লাখ টন চালের তুলনায় মাত্র ৫০ হাজার টন ধান কেনা খুবই কম। কৃষকরা ধান উৎপাদন করেন, চাল নয়। তাই সরকারের উচিত তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কাচারী বাজারে সংগঠনের রংপুর জেলা শাখা আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা প্রতিটি বাজারে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু এবং চালের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ ধান কেনার দাবি জানান। 

কৃষক নেতারা বলেন, সরকার ২০ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি কেজি ধান ৩৪ টাকা এবং চাল ৫০ টাকা দরে কেনার পরিকল্পনা করেছে।

তারা আরও দাবি জানান, আলু চাষিদের ক্ষতিপূরণ ও সহজ ঋণ প্রদান এবং রংপুর অঞ্চলে বিশেষায়িত সরকারি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে হবে।

সংগঠনটির জেলা আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল আরেফিন টিটু, কৃষক প্রতিনিধি রানা মিয়া ও আবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন।

কৃষক নেতারা বলেন, সরকার ২০ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি কেজি ধান ৩৪ টাকা এবং চাল ৫০ টাকা দরে কেনার পরিকল্পনা করেছে।

আহসানুল আরেফিন টিটু বলেন, চালের তুলনায় এত অল্প পরিমাণ ধান কেনার ঘোষণাকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি বলেন, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে এবং বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সময়মতো বোরো ও আমন ধান সংগ্রহ নীতি প্রণয়ন জরুরি।

তিনি প্রস্তাব দেন, সরকার যেন কৃষকদের কাছ থেকে আরও বেশি ধান কিনে এবং সংগ্রহকৃত ধান নির্ধারিত হারে মিলারদের দিয়ে ভাঙিয়ে নেয়, যাতে সরকার বাজারে ভর্তুকি মূল্যে চাল সরবরাহ করতে পারে। এতে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং ভোক্তারা সুরক্ষিত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আলু চাষিদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, গত বছর কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ করতে পারেননি। এর ফলে শত শত টন আলু ঘরে পচে যায়।

সমাবেশ শেষে সংগঠনটি তাদের দাবিসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে জেলা প্রশাসক এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।