শিরোনাম

চট্টগ্রাম, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের মামলায় অনামিকা দত্ত (৩২) নামে নগরীর এবি ব্যাংকের জুবলি রোড শাখার এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ তারিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে গত ১০ নভেম্বর অনামিকা দত্ত, তার বাবা সুহৃদ বরণ দত্তসহ অজ্ঞাতনামা আরো এক থেকে দু’জনকে আসামি করে দেবীকা চৌধুরী নামে এক নারী কোতোয়ালী থানায় প্রতারণার অভিযোগ করে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দেবীকা চৌধুরী পরিবারসহ দীর্ঘদিন ধরে পটিয়ায় বসবাস করেন। তিনি এবি ব্যাংক স্টেশন রোড শাখায় ব্যাংকিং লেনদেন করতেন।
সেখানে অনামিকা দত্তের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। অনামিকা ধীরে-ধীরে দেবীকার আস্থা অর্জন করেন এবং একপর্যায়ে জানান, ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। তিনি দেবীকাকে পরামর্শ দেন তার নামে থাকা এফডিআর ভেঙে ফেলতে। এরপর গত ৫ অক্টোবর এবি ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখায় অনামিকা দত্ত ভুল বুঝিয়ে দেবীকার এফডিআর হিসাব থেকে নিজের নামে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৫ টাকা স্থানান্তর করেন। পরে ৭ অক্টোবর একই কৌশলে জুবলি রোড শাখা থেকে আরো ১৪ লাখ টাকা নেন।
এভাবে মোট ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
লেনদেনের পর দেবীকা বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি স্বামীকে জানালে, স্বামী অনামিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত চাইলেও নানা অজুহাতে তিনি টাকা ফেরত দেননি।
এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনাল কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম বলেন, অনামিকা দত্ত ব্যাংকের স্থায়ী কর্মকর্তা নন। টাকা লেনদেনের বিষয়টি তার আত্মীয়ের সঙ্গে ঘটেছে। তবে বাদী দেবীকা চৌধুরী বলেন, অনামিকা দত্ত তার কোনো আত্মীয় নন।
তিনি বলেন, আমি চৌধুরী, আর অনামিকা দত্ত- আমাদের আত্মীয়তা নেই। এবি ব্যাংকের জুবলি রোড শাখায় তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সেখানে তিনি ডেস্কে বসতেন এবং নানা বিষয়ে সাহায্য করতেন। কিন্তু এভাবে প্রতারণা করবেন, তা কখনো ভাবিনি।
কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনামিকা দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে কীভাবে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।