শিরোনাম

চট্টগ্রাম, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, নগরের পাহাড়তলী থানায় দায়ের করা হাসান তারেক হত্যা মামলার রহস্যের জট একবছর পর খুলেছে। তারেক। একটি মাদকের চালান পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ তিন মাদক ব্যবসায়ী জেল থেকে বের হয়ে তারেককে খুনের পরিকল্পনা করে।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর ডিবি পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, খুনের ঘটনায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ওরফে আলোকে (৪১) সোমবার (১০ নভেম্বর) চকবাজার থানার দামপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ জব্দ করা হয়।
গ্র্রেপ্তারকৃত আলাউদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চুরি ও মাদক আইনে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।
উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, গত বছরের ১০ জানুয়ারি হাসান তারেক আসামিদের একটি মাদকের চালান পুলিশে ধরিয়ে দেন। ওই চালানের মালিক ছিলেন শওকত আকবর, আলাউদ্দিন এবং মোর্শেদ আলম। তিনজনই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে তারা হাসান তারেককে হত্যার পরিকল্পনা করে।
হত্যাকাণ্ডের ১৫-২০ দিন আগে চট্টগ্রামের জামালখানের একটি গলিতে বসে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজীর দেউড়ীতে অবস্থানরত আলাউদ্দিন, শওকত ও মোর্শেদের সঙ্গে যোগ দেয় আলাউদ্দিনের শ্যালক সাকিব ও সহযোগী ইকবাল হোসেন বাবু। এ সময় শওকত হত্যার খরচ হিসেবে আলাউদ্দিনের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নগরীর গরীবউল্লাহ শাহ (রা.) মাজারের সামনে থেকে হাসান তারেককে অটোরিকশায় তোলা হয়। পরে বায়েজীদ লিংক রোডের নির্জন স্থানে পৌঁছালে আসামিরা তাকে পাহাড়ের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে হাত বেঁধে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে নাইলনের রশি গলায় পেঁচিয়ে দুই পাশ থেকে টান দিলে প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ আবারও অটোরিকশায় তুলে কালুশাহ মাজার হয়ে পাহাড়লী থানাধীন খেজুরতলী রাসমনি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর আসামিরা নগরের ওয়াসা মোড়ে কুটুম বাড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাবার খায়। খাবার শেষে খরচের ২০ হাজার টাকার ভাগবাটোয়ারা করে যার যার বাড়িতে চলে যায়।