বাসস
  ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৩০

চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক

ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আজ বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ (এআইআর) টিম খালাসের শেষ মুহূর্তে ৩৯ টন ঘনচিনি জব্দ করে। 

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, ২১৮ মিটফোর্ড রোড, বংশাল, ঢাকা ঠিকানার এস পি ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান গত ৪ অক্টোবর চীন থেকে পলিএলুমিনিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় তিনটি কন্টেইনারে মোট ৬৩ টন পণ্য আমদানি করে। উক্ত চালান খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে সি বার্ড কর্পোরেশন, ২০০/বি জুবিলি রোড, চট্টগ্রাম গত ৭ অক্টোবর বিল অব এন্ট্রি নম্বর ১৮২৮২৭৮ দাখিল করে। পণ্য চালানটি খালাসের জন্য ট্রাকে লোড করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস সেটি স্থগিত করে। পরে ২৮ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষাকালে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। যার নমুনা সংগ্রহ করে কাস্টমস ল্যাবে রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য প্রেরণ করা হয়।

পরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, পণ্যের মধ্যে ২৪ টন পলিএলুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকলেও বাকি ৩৯ টন পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট ) হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। 

এ ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। এটি মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশু খাদ্য তৈরিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তবে এ উপাদান মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার আমদানিনীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির কারণে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কাস্টমস আইন, ২০২৩ অনুযায়ী পণ্য চালানটি আটক করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।