বাসস
  ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২৯

১ লাখ ৭০ হাজার টন সার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দেশে সার সরবরাহের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার ১ লাখ ৭০ হাজার টন ইউরিয়া ও টিএসপি সার ক্রয়ের পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা উপদেষ্টা পরিষদের ৪৪তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা, বাজারে সার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং চাষাবাদের গুরুত্বপূর্ণ মৌসুমে সার সংকট এড়াতে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এর মাধ্যমে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, মোট ১ লাখ ১০ হাজার টন দানাদার ইউরিয়া সার তিনটি পৃথক লটে আমদানি করা হবে।

প্রথম লটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৪০ হাজার টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া ক্রয় করা হবে। এই লটের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৫ দশমিক ৪৩ কোটি ৩৬ হাজার টাকা, যেখানে প্রতি টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯৯ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার। ফার্টিগ্লোব গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম নিয়মিত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

দ্বিতীয় লটে সৌদি আরবের স্যাবিক এগ্রিনিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে আরো ৪০ হাজার টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া আমদানি করা হবে। এর ব্যয় হবে প্রায় ১৯০ দশমিক ৯৪ কোটি ৪০ হাজার টাকা এবং প্রতি টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯০ মার্কিন ডলার। স্যাবিক দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত।

এছাড়া দেশীয় কোম্পানি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগজাত দানাদার ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে। এ লটের মূল্য প্রায় ১৩৯ দশমিক ৬৯ কোটি ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি টনের দাম ৩৭৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এ সার দ্রুত মাঠ পর্যায়ে সরবরাহে সহায়ক হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, বিএডিসির মাধ্যমে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস কোম্পানির কাছ থেকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (জিটুজি) ৬০ হাজার টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এই টিএসপি সার দুই লটে আমদানি করা হবে, প্রতিটি লটে ৩০ হাজার টন করে। প্রতি লটের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ দশমিক ৫১ কোটি ২ হাজার টাকা এবং প্রতি টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪২ মার্কিন ডলার।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব আমদানির মাধ্যমে কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় সার সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হবে।