বাসস
  ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০০:৩৫

দুর্নীতির অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান

ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

আজ দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুদক জানায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কুমিল্লা জেলা কার্যালয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বেসরকারি রাজস্ব বাজেটের আওতায় মেরামত ও সংস্কার খাতের অধীনে কোনো প্রকার মেরামত বা সংস্কার কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দলের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় এবং প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় জানা যায় যে, গত বছরের ১১ নভেম্বর তিতাস উপজেলার দুধঘাটা নূরে মোহাম্মদী (সঃ) মাদ্রাসার বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল। তবে বাস্তবে কোনো কাজ সম্পন্ন না করেই উক্ত বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে বলে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে প্রাসঙ্গিক নথিপত্র সংগ্রহ সম্পন্ন করেছে।

এদিকে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ভূষণছড়া ও কলাবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দায়িত্বস্থলে অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নানাবিধ অনিয়ম, অগোছালো প্রশাসনিক পরিবেশ এবং সেবা প্রদানে অচলাবস্থা লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীতে টিমের দুইজন সদস্য আইমারছড়া ইউনিয়নের কলাবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সম্পূর্ণ বন্ধ অবস্থায় রয়েছে এবং কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত কেন্দ্রে একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন এমএলএস পদায়িত থাকলেও তারা নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. ফারজানা ইয়াসমিন মৌখিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত থাকলেও সরেজমিনে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও উক্ত কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে ব্যর্থ হন।

এছাড়া ঝিনাইদহ পৌরসভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে জানা যায় উক্ত প্রকল্পটির টেন্ডার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং এখনো কোনো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়নি।

পরবর্তীতে টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্প-সংক্রান্ত নথিপত্র, টেন্ডার ডকুমেন্ট ও প্রাসঙ্গিক রেকর্ড সংগ্রহ করে।

দুদক জানায়, অভিযানকালে সংগৃহীত কাগজপত্র পর্যালোচনা শেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকারী টিমগুলো কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।