শিরোনাম

ঢাকা, ৪ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অন্তর্ভুক্তি ও সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইউনিসেফ যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি, মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম ও ইউনিসেফ প্রতিনিধি ড. এডওয়ার্ড অ্যাড্ডাই-এর মধ্যে আয়োজিত এক সৌজন্য বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
আজ মঙ্গলবার মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে উভয়পক্ষ মালদ্বীপে অবস্থানরত শিশুদের, বিশেষ করে বাংলাদেশি প্রবাসী শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, শিশুদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় কার্যক্রম পরিচালনা কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি শান্তি, কূটনীতি এবং টেকসই উন্নয়নেরও ভিত্তি। এছাড়াও আজকের বিশ্বে বহুপক্ষীয় সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
ইউনিসেফ প্রতিনিধি ড. এডওয়ার্ড অ্যাড্ডাই মালদ্বীপের অর্থনীতিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ইউনিসেফ মালদ্বীপে অবস্থানরত সব শিশুর, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিশুদের, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সময় তিনি ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশি শিশুদের যে-কোনো সামাজিক সেবার প্রয়োজনে ইউনিসেফকে অবহিত করার জন্য হাইকমিশনকে অনুরোধ জানান।
ড. অ্যাড্ডাই প্রস্তাব করেন, ইউনিসেফ মালদ্বীপ, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, মালদ্বীপ সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তোলা যেতে পারে, যা শিশুদের জন্য আরও শক্তিশালী সামাজিক সেবা নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।
বৈঠকে উভয়পক্ষ শিশুদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি, আনন্দ ও পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিশু উৎসব, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা করেন।
ড. এডওয়ার্ড অ্যাড্ডাই শিশু ও শিক্ষাবিষয়ক ক্ষেত্রে ড. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্ব ও অঙ্গীকারের প্রশংসা করে আগামী ২৮ নভেম্বর মালদ্বীপে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে তাকে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানান।
জবাবে ইউনিসেফের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিশুদের কল্যাণ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।