শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ফরিদপুর জেলার এজিপি ও ল’রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আহমেদ বশিরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সোমবার দু’দফা জানাজা শেষে ফরিদপুরের আলীপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় তার প্রথম জানাজা হয় ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে। ফরিদপুর বারের আইনজীবী ছাড়াও মোসাদ্দেকের বন্ধু-বান্ধব, দলীয় নেতাকর্মীসহ সহস্রাধিক মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, ফরিদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ আরো কয়েকজন। তারা মোসাদ্দেক বশিরের জন্য উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান।
মোসাদ্দেক আহমেদ বশিরের দ্বিতীয় জানাজা হয় মমিনখার হাট বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মাধবদীয়া ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আইনজীবীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টার দিকে ফরিদপুর শহরের কাছে বদরপুর (মন্ত্রীর বাড়ির কাছে) এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মোসাদ্দেক বশির। তার মৃত্যুতে পুরো ফরিদপুরে নেমে আসে শোকের ছায়া।
জানা গেছে, মোসাদ্দেক বশির একটি অনুষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে একটি কাভার্ড ভ্যান তাকে পেছন থেকে মাথার ডানপাশে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনিসহ মোটরসাইকেল চালক রাস্তায় ছিটকে পড়েন।
এসময় বশিরের নাক, কান ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে। পরে পেছনে থাকা অটো চালক তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের ৫০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বশিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সাংবাদিকতায় যুক্ত হন মোসাদ্দেক বশির। পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। পরে ফরিদপুরে আইনপেশায় যুক্ত হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারি আইন কর্মকর্তা (এজিপি) হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। তার এক মেয়ের বয়স সাড়ে ৬ বছর, আরেক মেয়ের ২ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স মাত্র ৬ মাস।
মোসাদ্দেকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি এলআরএফ’র : অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আহমেদ বশিরের মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংবিধান, আইন, বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)।
এলআরএফের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন রোববার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। এলআরএফ নেতারা বলেন, মোসাদ্দেক আহমেদ বশিরের মৃত্যু নিয়ে নানা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাই এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা তদন্তের মাধ্যমে বের হওয়া উচিত।